Tuesday 7 March 2017

অনুকূল ঠাকুরের ব্রহ্মতেজ


পর্ব - ২

সুদর্শন

এবারে দেখাযাক হনুকূল নারীদের কী চোখে দেখতো :

✘ মেয়েদের বৈশিষ্ট্যে আছে -
নিষ্ঠা, ধর্ম, শুশ্রূষা, সেবা, সাহায্য ও প্রজনন (যান্ত্রিক কিন্তু বলা হয় নি) ;
তুমি তোমাদের ঐ বৈশিষ্ট্যের কোনো-কিছুকেই ত্যাগ করিও না ;
ইহা হারাইলে তোমাদের আর কী রইল ?
   (নারীর নীতি, পৃ ৪)

✔ তখনো বোধহয় 'স্বাধীন' ও 'মুক্তমনা' শব্দদ্বয় সৃষ্টি হয়নি ।

✘ যুবতী কন্যার -
যৌবন শেষ ও প্রৌঢ়ত্বের আরম্ভ এমনতর বয়সের বর হওয়াই শ্রেয়ঃ, ....
তাই, শাস্ত্রে আছে -
এরূপ বিবাহ ধর্ম্ম্য অর্থাৎ জীবন ও #বৃদ্ধিপ্রদ।
     (নারীর নীতি, পৃ ৭৬)
✘স্বামী-স্ত্রীর ভিতর অন্ততঃ ১৫-২০ বৎসর বয়সের পার্থক্য থাকা উচিৎ। (না.নী., পৃ ৯২)

✘তুমি যদি তোমার স্বামীকে প্রকৃতই ভালোবাসিয়া থাক তবে তাহার অধীনতাই তোমার মুক্তি ও তৃপ্তি । (না.নী.,পৃ ৯৫)

✔ বিদ্যাসাগরের নাম এনার কোথাও পাবেন না ।

✘ তোমার কোনো ব্যবহারে স্বামী যদি বিরক্ত/দুঃখিত /ক্রুদ্ধ হইয়া ওঠেন তবে ত্রুটি স্বীকার করিয়া দুঃখিত হও।
(না.নী, পৃ ১০২)
✘ শিষ্যা : মেয়ে মানুষ 'বোকা জাত', তাদেরই কি যত দোষ?

ঠাকুর : (কোনো প্রতিবাদ না করে)তোর যদি কখনও মনেও হয় যে, স্বামী তোর সঙ্গে অকারণ দূর্ব্যবহার করছে, তাও বলবি, আমি যে কথাটা বলতে চেয়েছিলাম,সেটি ভাল করে বুঝিয়ে বলতে না পারায় তোমার অশান্তির কারণ হয়েছি (স্ত্রীর কথা বলার বা প্রতিবাদ করার জন্যই সংসার্্ব অশান্তি হয়) ।  ত্র“টি আমারই । এইরকম যদি করতে পারিস তাহলে দেখবি, স্বামীর সব রাগ গলে জল হয়ে যাবে। একটা জায়গায় কেবল স্বামীর বিরুদ্ধে দাঁড়াতে পারিস, অর্থাৎ যদি দেখিস, স্বামী তাঁর মা-বাবা বা গুরুজনের সঙ্গে অসমীচিন ব্যবহার করছে, সেখানে কখনও কিন্তু স্বামীর পক্ষ সমর্থন করতে যাবি না, শ্বশুর-শাশুড়ীর পক্ষ হয়ে সেখানে ন্যায্য প্রতিবাদ করবি। স্বামীর মঙ্গলের জন্যই এটা করা দরকার। [তথ্যসূত্র: আলোচনা প্রসঙ্গে, ৬ই কার্তিক, শুক্রবার, ১৩৪৯ (ইং ২৩/১০/১৯৪২)]

✔ পরকীয়া বিষয়ক এতটা উদারনৈতিকতা কোথাও দেখিনি । স্বামী মাতলামি, চুরি, রাহাজানি করলেও তার প্রতিবাদ করা যাবে না । জাস্ট 'একটু' বুঝিয়ে বলতে হবে ।

✘ আদর্শপরায়ণ পুরুষই বহুবিবাহের উপযুক্ত । (না.নী, পৃ ১৪৪)

✔ভাইস-ভারসা কোথাও পাবেন না ।

 ✘আজুদিয়া সীতানাথবাবুর বাড়ীতে একদিন এক গৃহমধ্যে শ্রীশ্রীঠাকুর আমাকে বলিলেন- “আপনাকে নির্জ্জনে পেলে একটা কথা বলবো মনে করি, কিন্তু আপনাকে নির্জ্জনে একাকী পাই না। দেখুন, অনেক সময় ভালবেসে আপনাদিগকে চেপে ধরি, কখন বা কাহাকেও কামড়াইয়া দিই। এমন সময় মন এমন স্তরে থাকে যে, স্ত্রী-পুরুষ ভেদাভেদ জ্ঞান থাকে না। একদিন মার (শ্রীশ্রীজননীর) মাথায় (?) কামড়াইয়া দিয়েছিলাম। যখন স্ত্রীলোক আমার কাছে আসে বা স্ত্রীলোকের নিকটে আমাকে যেতে হয় তখন আমাকে সামলে রাখবার জন্য যদি কোন পুরুষলোক উপস্থিত না থাকে, আর আপনি যদি থাকেন তাহলে স্ত্রীলোক দেখে সরে যাবেন না। আমার কাছে থাকবেন (আমাকে বেঁধে রাখবেন) ।প্রতিজ্ঞা করুন।” আমি তাহার কথায় স্বীকৃত হইলাম। আবার বলিলেন- “দেখুন সতীশ গোসঁই-এরও ঐরূপ হয়, তাই সে স্ত্রীলোক দেখে অনেক সময় সঙ্কুচিত হয় না।... তার কিন্তু মাতৃভাব এবং অনেক সময় স্ত্রী-পরুষ জ্ঞান থাকে না।(শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র- সতীশচন্দ্র জোয়ারদার পৃষ্টা ২৪০)

 তবে শ্রী শ্রী ঠাকুর বিখ্যাত অন্যকারনে। এই ডাইনামিক হিন্দুধর্মে #ইউজেনিক্স নামে ডিনামাইট ঢোকানোর পেটেন্টটি উনার । যারা ইউজেনিক্স নিয়ে পরিচিত নন -তাদের জন্য দুই লাইন জানিয়ে রাখি। এটি একটি খরতরনাক অপবিজ্ঞান যা নিয়ে হিটলার অবসেসড ছিলেন বিশুদ্ধ জার্মান জাতির সৃষ্টিতে। বিবাহে নরনারীর নির্বাচনের বিশুদ্ধতা উৎকৃষ্টতর সন্তানের জন্ম দেয়-এই হচ্ছে উনাদের “বিজ্ঞান সম্মত ” বিশ্বাস !! অনুকুল চক্রবর্ত্তীর অবশ্য হিটলারে ঠাঙারে বাহিনী ছিল না। তাই হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদকে আশ্রয় এবং সাশ্রয় করেই উনি, হিন্দু ধর্মে ইউজেনিক্স ঢোকাতে উৎসাহী হোন। উনার দর্শনের মূল থিওরী এই রকম – হিন্দু ধর্মের বর্ণবাদ ভাল! কারন তা বংশ গৌরব এবং বংশ দক্ষতা ( স্কিল) রক্ষা করে! রক্তের বিশুদ্ধতা রক্ষা করে! এই ঠাকুর কোন এক কালে ডাক্তারী পাশ করেছিলেন। কোন বায়োলজি গ্রন্থে শুদ্র রক্তের সাথ ব্রাহ্মন রক্তের পার্থক্যর পরীক্ষালদ্ধ ফল পাওয়া যায়, তা আমাদের কারুর জানা নেই । তবে উনিত আবার ঈশ্বরের সাথে কথা বলতেন-হয়ত কানে কানে ইশ্বর এসে এসব বৈজ্ঞানিক অমৃতবানী উনার কানে ঢেলেছিল! তবে এই বর্ণবাদ টেকাতে এবং উৎকৃষ্ট হিন্দু সন্তান প্রসব করিতে, উনার বিবাহের ফর্মুলা হচ্ছে এই রকম – প্রতিটা হিন্দু পুরুষের দুইটি বিবাহ করা উচিত ! (সৎসঙ্ থেকে যে পত্রিকা বের হয় সেখানে 'পাত্র-পাত্রীর বিজ্ঞাপন' সাঁটানো থাকে যেখানে এর প্রমাণ পাবেন এবং গরীবের ঠাকুরের মাসিকে একটি বিজ্ঞাপন ছাপাতে কত 'মুক্তহস্তে দান' দিতে হয় সেটা শুনলে আপনাদের চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যাবে । মনের মতো (ফুটো)পাত্র পাবার জন্য না-হয় একটা বিজ্ঞাপন দিয়েই কথাটা যাচাই করে নিলেন ! ) প্রথমটা সবর্ণ, পরেরটা অনুলোম অসবর্ণ । অনুলোম অসবর্ণ বিবাহ মানে উচ্চকাস্টের হিন্দু পুরুষের সাথে নিম্ন বর্ণের মহিলার বিবাহ। ব্রাহ্মন পুরুষের সাথে শুদ্রকন্যার বিবাহ। উচ্চবর্নের মহিলার সাথে নিম্ন বর্নের পুরুষের বিবাহে তিনি নারাজ। কারন তার বায়োলজি “গবেষণা” । নিম্নবর্নের স্পার্ম নাকি উচ্চবর্নের ডিম্বানুকে নষ্ট করে। প্রথমত উচ্চবর্নের আর নিম্ন বর্নের লোকেদের স্পার্ম আলাদা হয়-এই অতি মুল্যবান বৈজ্ঞানিক তথ্যর জন্য, উনাকে নোবেল বা নিদেন পক্ষে একটি গোবেল প্রাইজ দেওয়া উচিত ছিল! সর্বর্নে বিবাহটা করার পর কিন্ত আপনি অসবর্ণ বিবাহটা করিবেন! কেন? কারন আপনার সবর্ন স্ত্রীর গর্ভে আসিবে বিশুদ্ধ সন্তান! আর অসবর্ন বিবাহে আসিবে অশুদ্ধ সন্তান! অশুদ্ধ সন্তান কেন? এক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে শ্রী শ্রী ঠাকুর বিজ্ঞানে একেবারে “নিরক্ষর ” ছিলেন না । উনার মতে বায়োডাইভারসিটি বাড়াইতে দ্বিতীয় বিবাহটি অসবর্ণ করিতে হইবে! মোদ্দা কথা উনার এই স্বরচিত ” বৈজ্ঞানিক ” ইউজেনিক্স ভারতে খুব বেশী চলে নি-কারণ নেহেরু হিন্দুদের বহুবিবাহ আইন করে রদ করেন । তবে শ্রীঠাকুর, থিওরী অনুয়ায়ী দুটি বিয়ে করেছিলেন। এতে সমাজে বিশুদ্ধ এবং ডাইভার্স সন্তান এসেছিল কিনা আমার জানা নেই – তবে সতীন ও সতীনপুত্রের ঝগড়ায়, তার সৎসঙ্গ আশ্রম উঠে যাবার উপায় হয় একসময়। শিষ্যরাও বিরক্ত হয়েছিল। আমার দাদু তার সন্তানদের ওপর খাপ্পা ছিলেন-এটুকু মনে আছে। (৩) কেও যদি জোকার নায়েকের বৈজ্ঞানিক আবিস্কারে পুলকিত হৌন-তাহলে অনুকুল চক্রবর্ত্তীর বৈজ্ঞানিক তত্ত্বের উদ্ভাবনী শক্তিতে তূরীয় অবস্থা পেতে পারেন! উনার পুনঃজন্মের তত্ত্বটি এখানে হুবহু দিলাম – ।। পুণর্জন্ম কিভাবে হয় ।। “সম্বেগ জীবের বা মানুষের মধ্যে gene-এর (জনির) ভিতর-দিয়ে যে pitch-এ (স্তরে) ওঠে, মরে যাওয়ার সময় psycho-plasm-এ (মানস দেহে) engraved (মুদ্রিত) হ’য়ে থাকে সেই pitch-এ wave-এর (তরঙ্গের) আকারে । মিলনেচ্ছু sperm-এর (শুক্রকীটের) ভিতর সেই জাতীয় সম্বেগ সৃষ্টি হ’লে tunining (সঙ্গতি) হয় এবং মৃত ব্যক্তি পুনরায় শরীর গ্রহণ করার সুযোগ পায় । জন্ম ও মৃত্যুর এটাই revolving process (ঘূর্ণায়মান পদ্ধতি) ।”

✔উপরোক্ত ঘটনাগুলো কি প্রমাণ করে না যে অনুকূল একজন মানসিক ও যৌন রোগী? যে ব্যক্তি নিজেই নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে না তার ভক্তরা কীভাবে বিশ্বাস করবে তাকে ?

আরও অজস্র-গুণান্বিত ঠাকুরের কেচ্ছা শেষ করবো এই সত্য ঘটনাটি দিয়ে, ----

"ব্রহ্মতেজ"
******
ঠাকুর মহাকালের ন্যায় লিঙ্গ সামলাতে না-পেরে একদিন নিজের শালীর সাথে চুপিচুপি অশালীনতায় লিপ্ত হয় । কিছুদিন পর শালী ফলবতী হলে লোককানাকানিতে একটা ত্রাহি ত্রাহি রব পড়ে যায় । এমন চললে ভবিষ্যতে চ্যালারা রেগে অন্ডে তৈলমর্দনের বদলে বিঁচুটি পাতা ঢলে দিতে পারে এই ভয়ে বন্দে-আদর্শপরায়ণ লোকলজ্জায় ধ্যানবন্দী  হয়ে সমাধা খুঁজতে লাগলেন । এমতাবস্থায় তার যোগ্য স্ত্রী ভক্তদের বোঝাতে লাগলেন, "ওরে তোরা আর পাপাচার করিসনে । পতিতের কি সাধ্যি ঠাকুরের লীলা বোঝে !  ওটা ঠাকুরের 'ব্রহ্মতেজ" ।

ওনার সর্বাধিক বিখ্যাত শিষ্য-লেখক শীর্ষেন্দু । বিখ্যাত করার পিছনে 'মিডিয়া ঠাকুরে'র অবদান অনস্বীকার্য। তিনি নাকি একবার মরতে গেছিলেন । সেখান থেকে হনুকূল তাকে নতুন জীবনের দিশা দেয় । দিশার সাথে বাঁশ ফ্রি । নইলে যে কলম থেকে 'ঘুণপোকা' বেরোয় সেই কলমে কীভাবে ঘুণ ধরে যায় ! বাংলা সাহিত্য যাদের কারণে বন্ধ্যাযুগে ফিরে যেতে বসেছে, সেখানে এনার স্থান 'তিনশো নব্বই'টি গন্থ লেখকের পাশেই। এক সাক্ষাৎকারে বাবু বলেছিলেন, "আগে হাতের কাছে যা-ই পেতাম, পড়ে নিতাম । এখন আর পড়া হয়ে ওঠেনা ।" নির্লজ্জের মতো এমন কথা বোধহয় ট্রাম্পও বলবেন না ! এইসব অর্ধেন্দুদের জন্যই বাংলা সাহিত্যের ভবিষ্যৎ ষন্ডের অন্ডের মতো দোদুল্যমান । এত মানুষ মরে, অথচ এসব বিষাক্তকীটের মরণ হয়না ক্যানো ?

 এই কেচ্ছার শেষ করবো আমাদের বাড়ি থেকে ছ'মাইল দূরে আমার বাবার পিসেমশাইয়ের দাদার (আমার সাথে সম্পর্ক দাদু হন)  'পাগল' হয়ে যাবার ঘটনা দিয়ে । দাদুর জন্ম উচ্চমধ্যবিত্ত পরিবারে । পৈতৃক সম্পত্তিও ছিল, ছিল ছোটোখাটো ব্যবসা । স্বভাবে ছিলেন শান্ত ও দানশীল । সেসময়ে ভৃত্যদের সপ্তাহে একদিন ছুটি দিতেন। ... এমন সুখযাপন এক চুদিরভাইয়ের কানে গেল । তারপর তার শিষ্যরা এসে দাদুকে একদিন বললেন, "ঠাকুর তোকে সন্ধান করছে । সে সবাইকে ডাকে না । তুই তার ডাক পেয়েছিস । কালবিলম্ব করিসনে ।"  মূক্ষু মানুষ দু'বার না-ভেবেই তাদের কথা মতো গিয়ে দীক্ষা সেরে নেন এবং সেখানেই সপ্তাহখানেক বর্ণাঢ্য আতিথেয়তা লাভের পর পরম দয়াল তাকে নির্দেশ দ্যান, পরলোক ও পরজন্মের জন্য সমস্ত 'মায়া' ঠাকুরের কাছে বিসর্জন দিতে । ঠাকুরের মুখনিঃসৃত বাণী তিনি মাথায় করে বাড়ি এসে ভিটেবাড়ী-জমিজমা-ব্যবসা বিক্রি করে তাকে দান করার কিছুদিন পর সেখান থেকে বিতাড়িত হন এই শুনে, "তুই ঠাকুরের জন্যে কী করেছিস !" এতবড় আঘাত সইতে না পেরে তিনি সর্বশান্ত হয়ে বাকি জীবন কাটান । অন্তরমহলে ।
( আমি ক্লাস এইটে থাকার সময় সঙ্-পান্ডারা আমার স্বচোক্ষে দুই সিনিয়র নাস্তিক দাদাকে 'বিরিয়ানির লোভ' দেখিয়ে জনসমক্ষে দীক্ষা দ্যায় । যদিও তারা বিরিয়ানি খেয়েই কেটে পড়েছিল ।)
আমি একটি পাড়ার হিসাব দিলাম মাত্র । না জানি কতজনের পাঁচপুরুষের 'মায়া' ঐ বিকৃতমস্তিষ্কের পশুটা অসৎসঙ্গের নামে আত্মসাৎ করেছে !

 আজ আলাসিঙ্গার কাছে বিবেকানন্দের লেখা চিঠি পড়ছিলাম । কিছু অংশ না দিয়ে পারছি না ।
"....এসো, মানুষ হও। প্রথমে দুষ্ট পুরুতগুলোকে (ধর্মগুরু) দূর করে দাও । কারণ এই মস্তিষ্কহীন লোকগুলো কখনো শুধরোবে না । তাদের হৃদয়ের কখনো প্রসার হবে না । শত শত শতাব্দীর কুসংস্কার ও অত্যাচারের ফলে তাদের উদ্ভব; আগে তাদের নির্মূল করো । এসো, মানুষ হও। নিজেদের সঙ্কীর্ণ গর্ত থেকে বেরিয়ে এসে বাইরে গিয়ে দ্যাখো, সব জাতি ক্যামন উন্নতির পথে চলেছে । তোমরা কি মানুষকে ভালবাসো ? তোমরা কি দেশকে ভালবাসো ? তাহলে এসো, আমরা ভালো হবার জন্য - উন্নত হবার জন্য প্রাণপণে চেষ্টা করি ।"

 একটি ছোট্ট সংশোধন, ----
'বন্দেপুরুষোত্তমম' কথাটি ব্যাকরণগতভাবে ভুল । 'পুরুষোত্তম' মানে পুরুষের মধ্যে শ্রেয়, সেখানে আবার  পোঁদে 'উত্তম' জুড়ে দেবার অর্থ কী ? যিনি সক্রেটিস-এ্যারিস্ততল-প্লেটোর মতো 'বান-ই' দেন, যার বাণীছন্দ এই সময়ের শ্রেষ্ঠ ছড়াকারের ন্যায়, তার চোখ এতবড় ভুলকেও এড়িয়ে গেল নাকি শাক দিয়ে মাছ ঢাকার চেষ্টা ?

পুনশ্চঃ - বদরগঞ্জে এক রমণী একদিন নির্জ্জনে বসিয়া নাম করিতেছেন, এমন সময় তাঁহার স্বামী বিদ্রপচ্ছলে তাঁহার পৃষ্টদেশে স্বীয় পদস্পর্শ করিলেন। তখন হঠাৎ কোথা হইতে বহুসংখ্যক মৌমাছি আসিয়া সেই ভদ্রলোকের মুখে দংশন করিয়া অস্থির করিয়া তুলিল। অবশেষে তিনি স্ত্রীর নিকটে ক্ষমা চাহিলে মধুমক্ষিকাগণ তাঁহাকে পরিত্যাগ করিল। (শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকূল চন্দ্র- সতীশচন্দ্র জোয়ারদার পৃষ্টা৮৭)  

আমি যে (সব ধর্মের) এত সমালোচনা করি তবে আমাকে কেন মৌমাছি কামড়ায় নি (তবে একবার বোলতা কামড়েছিল) ? নাকি কামড়া-কামড়ি শুধু বইয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রেখে অসীমত্ব অর্জনের বৃথা চেষ্টা ?

 বি.দ্র. - লেখাটি সম্পূর্ণ আমার নয় । মুখোশ খুলতে আমি শুধু ধর্মগুরুদের মতো জোড়াতালি দিয়েছি । ঋণস্বীকার : দাদা, স্যর (হিন্দু স্কুলের শিক্ষক), ডি সি, মুক্তমনা ও সামহয়ারইন ব্লগ, নন্দন বোস, সুনীল চন্দ্র দাশ ও অন্যান্য ।

3 comments:

  1. Fantastic. Please keep on.

    ReplyDelete
  2. যা লিখেছেন ঠিক লিখেছেন। চুরি করে তো বলে নি। যা বলেছেন সবাই তা জানে আর যে বোঝার সে ঠিক বোঝে। সে নারী হোক বা পুরুষ। সবাই তো আপনার মতো করে কারো সম্মানহানী করে নি। আর আপনার বোঝার মতো করেও বুঝবে না।

    ReplyDelete

বিজেপির ভোটের রাজনীতি আর মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষের ভাবনা - শিমুল টিকাদার

লিখেছেন : শিমুল টিকাদার আমরা মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ । আমাদের সম্প্রদায়ের বড়ো একটি অংশ অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল এবং প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষ...