শিমুল টিকাদার
জিপ গাড়িটা থেমে গেল আমাদের অনুরোধেই।এখান থেকে দার্জিলিঙ মাত্র দেড় হাজার ফুট উপরে। গাড়ির ভেতর থেকেই আমরা চারপাশে তাকাতে লাগলাম । গাড়ির ইঞ্জিন তখনও শো শো শব্দ করছে। আমাদের ড্রাইভার গোর্খা ভাষায় কি যেন একটা বলে যাচ্ছে । আমরা ওর কথা বুঝতে পেরেছি এই ভান করে কৌতুহল নিয়ে মাথা নাড়তে থাকলাম । তারপর স্টিয়ারিং এ ধাক্কা দিতেই উত্তেজনা নিয়ে বলে উঠলাম "রুখ যাও"। সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়লাম প্রকৃতির এক অপরূপ লীলাক্ষেত্রে। যে দিকে দু'চোখ যায় শুধু উঁচু উঁচু পাহাড় আর পাহাড় । সকালের সূর্যের আলোয় পাহাড়ের গায়ে সবুজ কিংবা বেগুনি রশ্মি পড়েছে । ওদিকে শেষ পাহাড়ের মাথার উপর দৃশ্যমান হয়েছে কাঞ্চনজঙ্ঘা'র চূড়া। মাথার উপরে স্বচ্ছ নীল আকাশ । বিশুদ্ধ অক্সিজেন। রাস্তার পাড় থেকে শুরু করে নিচের দিকে শেষ সীমানা পর্যন্ত সাজানো সারি সারি চা বাগান । আমি এবং আমার বন্ধু অমিত আর ড্যানি ততক্ষণে হারিয়ে গেছি অন্য এক ভূবনে । চারিদিকে নীরব । মৃদু ঠান্ডা হাওয়া বইছে...